গোমস্তাপুর প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে স্বামীর বাড়িতে এক তরুণীর অনশনের খবর পাওয়া গেছে। উপজেলার গোমস্তাপুর ইউনিয়নের বেগম নগর গ্রামের হুমায়ূন রেজার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।
অনশনে থাকা তরুণীর জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চকর্কীত্তি ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে সুলতানা খাতুন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, হুমায়ুন রেজার বাড়ির সামনে তরুণীর অবস্থান। সেখানে সুলতানা খাতুন বলেন, আমি ঢাকায় একটি ক্লিনিকে নার্সের চাকরি করি এবং নাহিদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। চাকরিরত অবস্থায় গত আড়াই বছর থেকে নাহিদের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে গত ৭জনুয়ারি২০২৫ ইং তারিখে আমরা রাজশাহী জেলা কোটে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিবাহ হয়। বিবাহের পর নাহিদের ছুটি না থাকায়। নাহিদ চলে যান চট্টগ্রাম আমি ঢাকায় চলে যায়। আমাদের সম্পর্ক ঠিক ছিল। গত এক দেড় মাস থেকে নাহিদকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন না। বিষয়টি নিয়ে আমি চিন্তায় পড়ি। এবং জানার চেষ্টা করি গত এক মাস আগে আমি জানতে পারি নাহিদ আমাদের বিয়ের কথা গোপন করে। আরও একটি বিয়ে করেছেন তাই আমি নাহিদের স্ত্রী স্বীকৃতির দাবিতে নাহিদের বাড়িতে অবস্থান করছি।
অবস্থানরত তরুণীর ওপরে মারমুখী অবস্থান নেয় নাহিদের বাবা হুমায়ুন রেজা ও চাচা আব্দুল লতিফসহ তার পরিবার ও স্থানীয় কয়েকজন ।
অনশনরত তরুণী স্ত্রীর স্বীকৃতি না পেলে আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দেন। তিনি আরও দাবি করেন আমার বিবাহের সব ডকুমেন্টস এবং পাশ ব্যাগের মধ্যে ১০ হাজার টাকা সহ পাশ ব্যাগটি ছিনিয়ে নেই নাহিদের পরিবার।
স্থানীয়রা জানান, এমন ঘটনা আমরা এর আগে দেখি নাই তাই দেখতে আসছি। আবার অনেকে বলেছেন তার কাছে যদি বিয়ের ডকুমেন্টস বা কাবিননামা থাকে তাহলে আমরা স্থানীয়রা বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে একটা সমাধান করবো।
নাহিদের বাবা মা বলেন, ওই মেয়েকে আমরা চিনি না আর আমার ছেলে ওইখানে কখনো এই ধরনের কাজ করে নাই । সে যদি আমার ছেলের বউ হয় তাহলে কাবিননামা দেখাতে বলেন। কাবিননামা দেখালে আমি বউ হিসেবে মেনে নেবো।
এদিকে সেনা সদস্য নাহিদ ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সুলতানা আমার মাদ্রাসা সহপাঠীর বড় বোন। আমি তার সাথে বড় বোনের মত আচরণ করেছি। তার সাথে আমার বিয়ে তো দূরের কথা। তার সাথে কখনো প্রেম করিনি। সে মিথ্যা দাবিতে আমার বাড়ি গিয়ে অবস্থান করছেন।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য আনজারুল ইসলাম বলেন, আমি দুপুর ১.৩০ মিনিটে খবর পেয়ে হুমায়ুন রেজার বাড়িতে গিয়ে দেখি একটি অপরিচিত মেয়ে হুমায়ুন রেজার বাড়িতে জোর করে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এসময় হুমায়ুন ও তার বড় ভাই আব্দুল লতিফ, মেয়েটিকে ধাক্কা দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল ওয়াদুদ জানান, এলাকায় এমন একটি ঘটনা ঘটেছে শুনেছি। কোনো পক্ষ থেকে অভিযোগ পাইনি অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।
এআরএসকে
Leave a Reply